বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণ ব্যাপ্তি অর্ধ শতাব্দীর মতো হলেও এর পেছনে শতাধিক বর্ষের ঘটনাবহুল ইতিবৃত্ত রয়েছে। ১৮৬২-৬৫ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার জন্য দুর্ভিক্ষ কমিশন প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে যার ফলে ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের জন্ম হয়। পরে ১৯০৬ সালে স্বতন্ত্র কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সময়ে ঢাকায় মনিপুর (বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়) কৃষি খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ১ হাজার একর জমি নিয়ে বিস্তৃত। খামারটি কৃষি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে খামারের কৃষি গবেষণার জন্য একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রতিটি জেলায় একজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে কোনো কৃষি বিজ্ঞানে জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা ছিলেন না। পরে ১৯৪৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কৃষি কলেজ থেকে পাস করা গ্রাজুয়েটরা কৃষি বিভাগে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই বাস্তবিক পক্ষে কৃষি সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়।
১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন (ভিএআইডি) প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের সম্প্রসারণ শিক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকা- শুরু হয়, পরে ১৯৫৬ সালে উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১৯৬১ সালে বিএডিসি, ১৯৬২ সালে এআইএস, ১৯৭০ সালে ডিএইএম এবং ডিএআরই সৃষ্টি হলেও কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তেমন কোনো পরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকা-কে জোরদার করার লক্ষ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড, হর্টিকালচার বোর্ড এবং ১৯৭৫ সালে কৃষি পরিদপ্তর (পাট উৎপাদন), কৃষি পরিদপ্তর (সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা) নামে ফসলভিত্তিক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু একই কৃষকের জন্য বিভিন্নমুখী-রকম সম্প্রসারণ বার্তা ও কর্মকা- মাঠপর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে ১৯৮২ সালে ফসল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়োজিত ছয়টি সংস্থা যথা ডিএ (ইঅ্যান্ডএম), ডিএ (জেপি), উদ্ভিদ সংরক্ষণ পরিদপ্তর, হর্টিকালচার বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড এবং সার্ডি একত্রীভূত করে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবর্তিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন (টিঅ্যান্ডভি) পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ১৯৯০ সালের পর থেকে অদ্যাবধি দলীয় সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষককে অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সেবা প্রদান করেছে। পরিকল্পিত এবং অংশীদারিত্বমূলক সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের জন্য ১৯৯৬ সালে নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি (এনএইপি) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ৮টি উইংয়ের সমন্বয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব হলো সব শ্রেণীর চাষিকে তাদের চাহিদাভিত্তিক ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদান করা যাতে তারা তাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে স্থায়ী কৃষি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণ ব্যাপ্তি অর্ধ শতাব্দীর মতো হলেও এর পেছনে শতাধিক বর্ষের ঘটনাবহুল ইতিবৃত্ত রয়েছে। ১৮৬২-৬৫ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার জন্য দুর্ভিক্ষ কমিশন প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে যার ফলে ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের জন্ম হয়। পরে ১৯০৬ সালে স্বতন্ত্র কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সময়ে ঢাকায় মনিপুর (বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়) কৃষি খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ১ হাজার একর জমি নিয়ে বিস্তৃত। খামারটি কৃষি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে খামারের কৃষি গবেষণার জন্য একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রতিটি জেলায় একজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে কোনো কৃষি বিজ্ঞানে জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা ছিলেন না। পরে ১৯৪৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কৃষি কলেজ থেকে পাস করা গ্রাজুয়েটরা কৃষি বিভাগে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই বাস্তবিক পক্ষে কৃষি সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়।
১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন (ভিএআইডি) প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের সম্প্রসারণ শিক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকা- শুরু হয়, পরে ১৯৫৬ সালে উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১৯৬১ সালে বিএডিসি, ১৯৬২ সালে এআইএস, ১৯৭০ সালে ডিএইএম এবং ডিএআরই সৃষ্টি হলেও কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তেমন কোনো পরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকা-কে জোরদার করার লক্ষ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড, হর্টিকালচার বোর্ড এবং ১৯৭৫ সালে কৃষি পরিদপ্তর (পাট উৎপাদন), কৃষি পরিদপ্তর (সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা) নামে ফসলভিত্তিক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু একই কৃষকের জন্য বিভিন্নমুখী-রকম সম্প্রসারণ বার্তা ও কর্মকা- মাঠপর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে ১৯৮২ সালে ফসল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়োজিত ছয়টি সংস্থা যথা ডিএ (ইঅ্যান্ডএম), ডিএ (জেপি), উদ্ভিদ সংরক্ষণ পরিদপ্তর, হর্টিকালচার বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড এবং সার্ডি একত্রীভূত করে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবর্তিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন (টিঅ্যান্ডভি) পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ১৯৯০ সালের পর থেকে অদ্যাবধি দলীয় সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষককে অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সেবা প্রদান করেছে। পরিকল্পিত এবং অংশীদারিত্বমূলক সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের জন্য ১৯৯৬ সালে নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি (এনএইপি) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ৮টি উইংয়ের সমন্বয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব হলো সব শ্রেণীর চাষিকে তাদের চাহিদাভিত্তিক ফলপ্রসূ ও কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদান করা যাতে তারা তাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে স্থায়ী কৃষি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস